যশোর উপশহর এলাকার মেরিন ইঞ্জি. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বুলবুলকে হত্যার অভিযোগে দীর্ঘ ১১ বছর পরে আটজনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। গত রোববার নিহত বুলবুলের ভগ্নিপতি মনিরামপুরের হালচা গ্রামের মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, শহরের নতুন উপশহর সি ব্লকের মৃত সৈয়দ মনজুর আলমের ছেলে মনসুর আলম, বিরামপুর গামতলা এলাকার মৃত মোকাম হোসেনের ছেলে হাদিউজ্জামান চিমা, উপশহর ১১ নম্বর সেক্টরের ইউনুচ বেগের ছেলে সেতু, বিরামপুরের জলিল ড্রাইভার এর ছেলে হাস লিটন, ঘোপ বউবাজার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে টাক শিপন, ঘোপ কবরস্থান এলাকার রফিকুলের ছেলে তামিম, সদরের সিরাজ সিনহা গ্রামের আবু চিটারের ছেলে কামরুল ও একই গ্রামের এখলাছ ফকিরের ছেলে বরাত।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম গোলাম কিবরিয়া এক আদেশে বুলবুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে সাত কার্য দিবসের মধ্যে কোতোয়ালি থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী গাজী এনামুল হক।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুল হাই সিদ্দিকী বুলবুল মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি তার উপশহরের বাসার কম্পিউটারে বসে কাজ করছিলেন। সন্ধ্যায় তার ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদ বাসায় বেড়াতে যান। তিনি রুমে ঢোকার সময় বাইরে মনসুর, চিমা, টাক শিপনসহ অন্য আসামিরা বাড়ির সামনে রাস্তায় অবস্থান করছিলো।
কিছু সময়ের মধ্যে মনসুর জানালা দিয়ে বুলবুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত বুলবুলকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এ মামলার দুই আসামি টাক শিপন খুন ও হাস লিটন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
টিএইচ